ইমান হলো বিশ্বাস । ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে বিশ্বাস স্থাপন করাকে ইমান বলা হয় । যে ব্যক্তি ইমান আনে তাকে বলা হয় মুমিন । আর নৈতিকতা হলো নীতিসম্বন্ধীয়, নীতিমূলক কাজে-কর্মে, কথাবার্তায় নীতি ও আদর্শের অনুসরণই হলো নৈতিকতা।
ইমান ও নৈতিকতার সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। নৈতিকতার অনুসরণ করা মুমিন ব্যক্তির অপরিহার্য দায়িত্ব। নীতি- নৈতিকতা না মানলে কোনো ব্যক্তি পূর্ণাঙ্গ মুমিন হতে পারে না। সততা, ন্যায়পরায়ণতা, দয়া, ক্ষমা, পরস্পর সহযোগিতা, সাম্য-মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ব ইত্যাদি সৎগুণ ইমানদার ব্যক্তির থাকা প্রয়োজন । এগুলো নৈতিকতার প্রধান দিকসমূহের অন্যতম। মুমিন ব্যক্তি এসব গুণ চর্চা করে থাকেন। অন্যায়- অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যাচার, প্রতারণা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ইত্যাদি অনৈতিক কাজ থেকে মুমিন ব্যক্তি দূরে থাকেন । ইমানের শিক্ষা মুমিনকে এসব কাজ থেকে হেফাজত করে। একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-
মানুষ যখন ব্যভিচার করে তখন সে মুমিন থাকে না । (সহিহ্ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)
ইমানের মূলকথা হলো- (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ)
অর্থ : “আল্লাহ ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই । মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর রাসুল ।”
এ কালিমার সারকথা হলো ইবাদত ও প্রশংসার যোগ্য একমাত্র আল্লাহ। আর আল্লাহ তায়ালা ও রাসুল (স.)- এর দেখানো পথ ও আদর্শই হলো প্রকৃত মুক্তি ও সফলতার পথ । দুনিয়ার সর্বাবস্থায় সকল কাজে এ কালিমা মনে রাখতে হবে। এ কালিমার শিক্ষা নিয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করতে হবে । মুমিন ব্যক্তি সর্বদা এরূপই করে থাকেন।
আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুলের আদর্শই হলো নৈতিকতার আদর্শ । আল-কুরআনে আল্লাহ তায়ালা নীতি ও আদর্শ অনুসরণের জন্য বহু নির্দেশ প্রদান করেছেন। আর রাসুল (স.) নিজে ছিলেন উত্তম আদর্শের বাস্তব নমুনা । তিনি হাতে-কলমে মানুষকে নৈতিকতা ও উত্তম চরিত্রের শিক্ষা দিয়েছেন। মুমিন ব্যক্তি জীবনযাপনের ক্ষেত্রে ইমানের এ শিক্ষা বাস্তবায়ন করে থাকেন।
সুতরাং প্রমাণিত হয় যে, ইমান ও নৈতিকতা খুবই গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। ইমান মানুষকে নীতি নৈতিকতার পথ দেখায় । ইমান অনৈতিক ও অশ্লীল কার্যাবলি থেকে মানুষকে বিরত রাখে । আমাদেরও উচিত ইমানের শিক্ষা গ্রহণ করা । অতঃপর নিজ জীবনে তার বাস্তবায়ন করা । তাহলে আমরা নৈতিকতার অনুসারী হয়ে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে পারব । ফলে আমাদের দুনিয়ার জীবন সুন্দর ও কল্যাণময় হবে । আর হবে । আর
কাজ : শ্রেণির সব শিক্ষার্থী দু'দলে ভাগ হয়ে যাবে। এবার প্রত্যেক দল থেকে তিনজন বক্তা নির্বাচন করবে । “প্রকৃত ইমানই কেবল মানুষকে নীতি-নৈতিকতার পথে পরিচালিত করে” বিষয়ের পক্ষে একদল এবং বিপক্ষে একদল অবস্থান নিয়ে বিতর্ক করবে। শ্রেণিশিক্ষক সঞ্চালক হিসেবে থাকবেন। বিতর্ক শেষে বিজয়ী দলকে এবং উভয় দলের মধ্যে যে বক্তা বিতর্কে যুক্তিপূর্ণ ভালো বক্তব্য উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে, তাকে সবাই মিলে ধন্যবাদ জানাবে । সম্ভব হলে পুরস্কারের ব্যবস্থা করবে। |
Read more